নিজস্ব প্রতিনিধি।এবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে নাফনদীর সঙ্গে লাগোয়া লাল দ্বীপে মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি( এএ) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) মধ্যে তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় সীমান্তের এপারের মানুষের মধ্যেই দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
বুধবার ( ১১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে বৃহস্পতিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এবং সকাল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা জাদিমুড়া ও সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নজির আহমদ মেম্বার।টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সদস্য নজির আহমদ বলেন, নাফনদীর জাইল্যার দ্বীপ ও লাল দ্বীপে বুধবার ভোর সকালে ও সন্ধ্যায় এবং বৃহস্পতিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত আরকান আর্মির (এএ) এর আরএসও এর মধ্যে থেমে থেমে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছ। এ ঘটনায় আতঙ্ক গ্রামের লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে নাফনদীর সঙ্গে লাগোয়া লাল দ্বীপে থেকে গত দুইদিনে ভারী গুলির বিকট শব্দ ভেসে আসতেছে। লাল দ্বীপ টেকনাফ সীমান্তের খুব কাছাকাছি একটি দ্বীপ।সেখানে মিয়ানমারের দুই বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি ও আরএসও এর মধ্যেই গোলাগুলি হচ্ছে বলে শুনেছি।এতো নিকটে এমন ঘটনা এপারের মানুষের জন্য আতঙ্কের।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি’র) অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে লাল দ্বীপে মিয়ানমারের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি নাফ নদীতে তাদের টহল ও মনিটরিং বৃদ্ধি করেছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য,মিয়ানমারের রাখাইন দখল নিতে আরাকান আর্মি দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে গত ৬ মাস ধরে যুদ্ধে করছে। এরই মধ্যেই আরাকান আর্মি রাখাইনের অধিকাংশ অঞ্চল ও দেশটির সেনা ও বিজিপি’র ক্যাম্প, চৌকি দখলের পরে মংডু শহর দখল নিতে সেখানেও তীব্র হামলা চালাচ্ছেন।এদিকে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে একাধিক বার নাফনদীতে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।
পাঠকের মতামত